
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সফল না হলে গোটা জাতির আকাঙ্ক্ষা ভেঙে পড়বে বলে সতর্ক করলেন রাশেদ খান। দেশের সংকটময় মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সোমবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে এসব কথা তুলে ধরেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সমালোচনা আমিও করেছি। সামনেও করব। কিন্তু তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পক্ষে আমি নই।"
তার মতে, নতুন করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্যোগ নিলে গণঅভ্যুত্থানে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য নষ্ট হবে এবং বিভক্তি বাড়বে। এর ফলে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছাতে পারে, যেখানে দেশ আবারও ১/১১-র মতো জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।
রাশেদ খান আরও বলেন, "সেই সুযোগে বাংলাদেশে আরেকটি ১/১১ নেমে আসবে।"
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারে যারা ভূমিকা রাখবেন, তাদের মধ্যে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের গ্রেপ্তারের ঝুঁকি তৈরি হবে। একইসঙ্গে, অংশগ্রহণকারী অন্যান্য পক্ষদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, "গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো বিভাজিত হওয়ার কারণে ১/১১ এর সম্ভাবনা বাড়ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে বিদেশি একটা এজেন্সি গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর সম্পর্ক বিনষ্ট করতে কাজ করছে।"
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো হয়তো বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছে না। তাই এই সময়ে জাতীয় স্বার্থে সব পক্ষকে একত্রিত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করার ওপর জোর দেন তিনি।
পোস্টের শেষদিকে রাশেদ খান আবারও সতর্ক করে বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যর্থ হলে পুরো বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে।"