
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, একটা বিষয় স্পষ্ট করি, আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে না, নির্বাচন বানচালও আমরা করতে দেবো না। আমরা চাই, ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ দেশে নির্বাচন হবে।
রাশেদ খান রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পূর্তি ও ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিপ্লবীরা কতটা নিরাপদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই সরকারের ভুল থাকতে পারে, কিন্তু সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, গতকাল আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, এটার বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও এমন ঘটনা ঘটবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দোষীদের বিচার অপরিহার্য। আমরা সবসময় সেনাবাহিনীর পক্ষে বক্তব্য দিয়েছি, বলেছি এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা যাবে না। কিন্তু নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পর সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এটি পুনরুদ্ধারের জন্যও দোষীদের বিচার প্রয়োজন। একই সঙ্গে পুলিশের মধ্যে যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার ওপর এমন হামলা, কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের আহত করা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এর প্রতিকার ও সমাধান না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলে ধরেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধের দাবি করেছি। আমাদের মতে, ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। ইনক্লুসিভ নির্বাচনের নামে যদি আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে, তাহলে তারা আবারও ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনবে।
এ সময় যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন বলেন, যাদের জীবন, রক্ত, ত্যাগ, ঘাম ও অর্থ দিয়ে আজকে দেশের নানা অঞ্চলে যুব অধিকার পরিষদ ছড়িয়ে পড়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দেশের ক্রান্তিলগ্নে নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখেছেন, যার ফলে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে।
তিনি দলের সভাপতিসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে বিচারে আনা প্রয়োজন।
জবসই, যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নুরের ওপর হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নিন্দা প্রসঙ্গে মনজুর মোরশেদ বলেন, সরকার আসলে কে? ইদুর বিড়ালের গল্পের মতো, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?