
রাজধানীর কাকরাইলে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতের ঘটনা জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে আওয়ামী লীগবিরোধী মিছিল নেয়ার সময় সংঘটিত হয়। এই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লাল টি-শার্ট পরা একজন ব্যক্তি গণঅধিকার পরিষদের এক নেতাকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। সামাজিক মিডিয়ায় অনেকেই ধারণা করেন, আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি নুরুল হক নুর। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন স্পষ্ট করেন, যে ব্যক্তি মারধর করা হয়েছে তিনি নুর নন, বরং ছাত্রনেতা সম্রাট।
ঘটনার পর লাল শার্ট পরা ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খাঁন দাবি করেন, হামলাকারী ব্যক্তি পুলিশের কনস্টেবল মিজানুর রহমান। তার বিপি নম্বর ৯৭১৭১৯৭২৪৩।
রাশেদ বলেন, “লাল পোশাক পরিহিত ব্যক্তি ছাত্রনেতা সম্রাটের ওপর হামলা করেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা প্রচার হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর। ভিডিও দেখে প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।”
এর আগে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, নুরুল হক নুর ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। রাশেদ খাঁন বলেন, “লাল শার্টধারীর ওপর দায় চাপিয়ে প্রকৃত হামলাকারীদের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সেনা শুধু হামলা চালায়নি, আমাদের কার্যালয়ে ঢুকে বাথরুম ভেঙে অসংখ্য নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছে। তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”