
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫১৫ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। শনিবারের পরদিন, ২১ সেপ্টেম্বর, রোববার এ তথ্য জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষের মূল পাঁচটি ফ্রন্টে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনের। ‘ব্যাটলগ্রুপ নর্থ’ অঞ্চলে ১৮৫ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারায়, ধ্বংস হয় একটি ট্যাঙ্ক ও সাতটি যানবাহন। ‘ব্যাটলগ্রুপ ওয়েস্ট’ এলাকায় রুশ হামলায় ২২৫ জনের বেশি সেনা এবং একটি ‘সেনেটর’ সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতিও ছিল উত্তপ্ত। ‘ব্যাটলগ্রুপ সাউথ’-এর এলাকায় ২২০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয় বলে জানায় রাশিয়া। ধ্বংস হয় একটি সাঁজোয়া কর্মীবাহী যান (এপিসি) এবং দুটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান (আইএফভি)।
এছাড়া ‘ব্যাটলগ্রুপ সেন্টার’ অঞ্চলে ইউক্রেনের ৫০০ জনেরও বেশি সেনা প্রাণ হারায়, সঙ্গে ধ্বংস হয় একটি এপিসি। ‘ব্যাটলগ্রুপ ইস্ট’ এলাকায় ৩৪০ জন সেনা এবং একটি আইএফভি, আর ‘ব্যাটলগ্রুপ ডিনেপার’ অঞ্চলে ৪৫ জন সেনা ও নয়টি যানবাহন গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে মস্কো।
এদিকে, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, গত একদিনে তারা ৬৫টি ইউক্রেনীয় ফিক্সড-উইং ড্রোন ভূপাতিত করেছে। কৃষ্ণ সাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের দুটি চালকবিহীন বোট বা ড্রোন নৌকা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তারা ইউক্রেনের দূরপাল্লার ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোকেও নিশানা করে ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ১৩৮টি স্থানে ইউক্রেনীয় সেনা ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের অস্থায়ী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে প্রতিদিনই পাল্টাপাল্টি হামলা এবং সেনা ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসা এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা এখনো সম্ভব হয়নি।