
সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মৃতি রেখে রাজধানীর গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করা হয়েছে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’। আজ (১৬ ডিসেম্বর) এই সড়কের নামফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান মঙ্গলবার বিকেলে নামফলক উন্মোচনকালে বলেন, “দেশের ১৮ কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। ফেলানির প্রতি কী ধরনের নৃশংসতা হয়েছে সেটি প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দিতে এ রাস্তা। এ সড়কের মাধ্যমে বিশ্ব বিবেকের কাছে তুলে ধরছি, সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য পরিস্থিতি বাংলাদেশের সীমান্তে বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার সব সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ডিএনসিসি কর্মকর্তারা।
এর আগে রাজধানীর গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের নতুন নামকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই সড়কটি ভারতীয় দূতাবাসের পাশ দিয়ে গেছে। সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে ধারণ করে সড়কটির নাম ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ রাখা হয়েছে।
ফেলানী খাতুন ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ১৫ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। তার মরদেহ কাঁটাতারে প্রায় চার ঘণ্টা ঝুলে থাকার ঘটনাটি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।