
বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাগরিকদের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘাতের মধ্যে থাকা মানুষের সাহায্য পৌঁছানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যদি কিছু শর্ত পূর্ণ হয়, তবে তারা এই উদ্যোগে সহায়তা করবে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য একটি করিডোর তৈরি করতে চায়। এই বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে, তবে কিছু শর্ত রয়েছে। তিনি বলেন, “যদি শর্তগুলি পূর্ণ হয়, তবে আমরা মানবিক সাহায্য প্রদান করব।” তিনি আরও যোগ করেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাত বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলছে, কারণ সেখানে বিপুলসংখ্যক মিয়ানমার নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে, যাদের ফিরিয়ে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সব কিছু করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, যারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক অভিযান থেকে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমারের সেনাশাসিত সরকার রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করতে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে যে, সেখানে দুর্ভিক্ষ হতে পারে এবং এ কারণে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে একটি করিডোর খুলে দিতে অনুরোধ করেছে। তবে, এই করিডোর ব্যবহার করে সন্ত্রাসী বা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিবেচনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "এই করিডোর শুধুমাত্র মানবিক সাহায্যের জন্য থাকবে; অস্ত্র নেওয়া হবে না।"