
ইসরায়েল পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের এবং অবরুদ্ধ গাজা শহর দখলের বিতর্কিত পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন। জেরুজালেমের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ই-১ এলাকা উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই এই পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে প্রায় তিন হাজার ৫০০টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করে বর্তমান মালে আদুমিম বসতি সম্প্রসারণ করবে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর বিভক্ত হবে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা আরও দূরে সরে যাবে।
স্মোটরিচের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিষয়টি বাদ দিচ্ছি।” ইর আমিম সংস্থার গবেষক আভিভ টাটারস্কি বলেন, “স্মোটরিচের প্রস্তাবিত প্রকল্প পশ্চিম তীরকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করবে। এর ফলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বতন্ত্র গঠন কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে।”
একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনবহুল গাজা শহরে একটি নতুন অভিযানও অনুমোদন পেয়েছে। যদিও অভিযানের বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎস এএফপিকে জানিয়েছেন, গাজা শহর অধিগ্রহণের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ইতোমধ্যেই স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা দখলের নীতিতে সম্মতি দিয়েছে। তবে হামাস বন্দি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য এবং অনেক ইসরায়েলি গোষ্ঠীও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত নয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন অভিযানে ইসরায়েল প্রশিক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীর কাজে নিয়োগ দিতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে, এক লাখেরও বেশি নাগরিককে এভাবে কাজে লাগানো হতে পারে।