
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন টেটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের বালুচর বাজারের চৌরাস্তায় মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের মধ্যে এই সংর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহীন বেপারীর (৩২) মালিকানাধীন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গেরেজের ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়। সোমবার দুপুরে সিরাজদিখান বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা শাহিন বেপরীর কাছে বকেয়া বিদুৎ বিল চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় খাসমহল বালুচরের আনোয়ার সর্দারের ছেলে সুলতান সর্দার (৪০) পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার পক্ষ নিলে শাহিন বেপারী ও সুলতানের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতি থেকে একপর্যায়ে মোল্লাকান্দি আর খাসমহল দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এ সময় প্রায় ছয়জন টোটাবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ সময় বালুচরের বাজারের ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে ২০ থেকে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বলেন, ওই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। কয়েকজন টেটাবিদ্ধসহ ৮-১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।