
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণসমাবেশের আগে মহানন্দা রাবার ড্যাম পরিদর্শনে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারও ভারত ইস্যুতে সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পানিস্বার্থ রক্ষায় বিএনপি ক্ষমতায় এলে ফারাক্কা ও তিস্তাসহ সব সীমান্ত নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় ফারাক্কা ও তিস্তাসহ সকল পানিবণ্টন ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।” ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘দাদাগিরি বন্ধ’ করতে হবে বলেও তিনি স্পষ্ট বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দেশের স্বার্থ আমাদেরই দেখতে হবে। বিএনপি যদি জনগণের ভোটে দায়িত্বে আসতে পারে, নিঃসন্দেহে ফারাক্কা ইস্যু, তিস্তা এগুলোয় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।”
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইচ্ছে করলেই আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে। আমি মনে করি, যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, সেই হিসেবে আরও বেশি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা দরকার।”
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে। তার ভাষায়, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত সরকারের সময়ে উল্টো তারা (ভারত) আমাদের চাপে ফেলেছে। সব নিয়ে গেছে, বিনিময়ে আমাদের কিছু দেয়নি। এটা আওয়ামী লীগ সরকার, হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা।”
বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, সীমান্তে হত্যা, পানির ন্যায্য হিস্যা এবং ব্যালেন্স অব চেইনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিএনপি দৃঢ় অবস্থান নেবে। তিনি বলেন, “এখানকার পানির হিস্যা, সীমান্তে হত্যা, ব্যালেন্স অব চেইন ঠিক করা- এগুলোয় আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতার ভিত্তিতে। তবে, আমাদের ওপর ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে। এটা আমরা চাই।”
এ সময় তিনি বিএনপির ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা নিয়েও সতর্ক করেন। তার মতে, “বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি দল। এর মধ্য দিয়ে তারা রাজনীতিতে ফায়দা নিতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। আরেকটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এদের দ্বারা দেশের পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।”