
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ‘আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন মার্কেটিং ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে সংঘটিত মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মার্কেটিং বিভাগের একজনকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে এবং চারজনকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) শৃঙ্খলা বোর্ড কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।
মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাফায়েত রহমান ভূঁইয়াকে সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্রিয়া কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অপর চার শিক্ষার্থীও আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। এই চারজন হলেন- ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মাহবুব হাসান এবং হাসান মাহমুদ সাফিন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম সৌরভ, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জয়নাল আবদীন হৃদয়
এ ছাড়া, স্থগিত হওয়া দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের বিজয়ী হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, “টুর্নামেন্টে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল তা সমাধান হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাকি খেলাগুলো সুষ্ঠুভাবে শুরু হবে।”
শৃঙ্খলা বোর্ড কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, “আমাদের ১৬ সদস্যের বোর্ড দীর্ঘ সময় নিয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করেছে। উভয় দলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখানে মার্কেটিং বিভাগের পাঁচজন সদস্যকে সরাসরি মারতে দেখা গেছে, এবং তারা এ বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাই খেলার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্ট সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং সকলকে শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন মারামারির ঘটনা ঘটে। এর পর ২৫ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।