
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রীড়া, সহপাঠ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রফেসর মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবে ফুটবল, ভলিবল, দাবা, ক্রিকেট ও দৌড়। সহপাঠ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বক্তৃতা (বাংলা ও ইংরেজিতে), উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, কুইজ এবং দেয়ালিকা তৈরি।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে কোরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, লোকগীতি, একক অভিনয়, নৃত্য ও গ্রাফিতি অঙ্কনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম একাডেমিক শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কার্যক্রম জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে পুরো বছরের জন্য চলবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে হাউজভিত্তিক (৪টি হাউজে) কার্যক্রম নির্ধারিত ক্লাস রুটিনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্কুল ও কলেজে কার্যক্রম গতিশীল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বয়েজ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ক্লাবের মতো কার্যক্রমেও যথাযথ গুরুত্ব দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের একটি ক্যালেন্ডার ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রণয়ন করবেন। মাউশির শারীরিক শিক্ষা বিভাগ এই কার্যক্রমগুলো মনিটরিং করবে।