.webp)
একটি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো পুরো এলাকায়—মাদারীপুরের রাজৈরে মজুমদারকান্দি ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয় খেলার বিরোধ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন, পাশাপাশি রাজৈর উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে হেলিপোর্ট মাঠে কয়েক দিন ধরে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। গতকাল বিকেলে ওই টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় মজুমদারকান্দি ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের কিশোরদের দুটি দল। খেলার মাঝেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গড়ায় সন্ধ্যায়, যখন উভয় পক্ষ একে অপরকে ধাওয়া করে এবং শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
সংঘর্ষ চলাকালে এক পর্যায়ে রাজৈর উপজেলা পরিষদের মূল ফটকটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে উভয় পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সংঘর্ষে আহত পাঁচজনকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকসহ পুরো এলাকা ঘুরে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান জানান, “ফুটবল খেলা ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগেও রাজৈরে এমন সহিংস ঘটনার নজির রয়েছে। কয়েক মাস আগে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আতশবাজি নিয়ে রাজৈরের বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে তিনদিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় মজুমদারকান্দি গ্রামও পশ্চিম রাজৈরের পক্ষে যোগ দেয়। তাতে প্রায় ৩০টি দোকান ভাঙচুর হয় এবং পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন তখন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল।