
শেরপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হলো ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমকে। টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নকলা উপজেলার গৌড়দার ইউনিয়নের খন্দকার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বাড়ির পাশের মাঠে মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা জানান।
১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট শেরপুরের নকলা উপজেলার পূর্ব লাভা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নাঈম। পড়াশোনা শেষে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সাহারা মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় কেমিক্যাল বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হন তিনি। তার শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নিয়ে আসা হয় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে। রাত ৯টার দিকে নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজন, সহকর্মী এবং এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
ফায়ার সার্ভিসের ময়মনসিংহ বিভাগের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী পিএফএম বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন নাঈম। তিনি বেঁচে থাকবেন সহকর্মী ও দেশবাসীর হৃদয়ে।”
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ নাঈমের সন্তান যতদিন পড়াশোনা করবে ততদিন তার দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি নাঈমের পরিবার ও বাবা-মায়ের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।