
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর দাবি করেছেন, রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিকভাবে হত্যার মতো ঘটনা সারাদেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত ১১ মাসে এ ধরনের অন্তত ১১ হাজার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (১১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘জুলাই বিপ্লব গণসমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুর।
তিনি বলেন, “মিটফোর্ডের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডটি আলোচনায় এসেছে কারণ এটি রাজধানীতে ঘটেছে এবং গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার পেয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা, গ্রামে-গঞ্জে প্রতিনিয়ত এমন বহু ঘটনা ঘটছে যা আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে।”
গণমাধ্যমের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা ও মর্যাদা থাকবে। কিন্তু গণমাধ্যম যদি আবারও নিরপেক্ষতা হারিয়ে রাজনৈতিক আনুগত্যে জড়িয়ে পড়ে, তবে দেশে ফ্যাসিবাদ আরও জেঁকে বসবে।”
সমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধেও কঠোর সমালোচনা করেন গণঅধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা। তিনি অভিযোগ করেন, “পাঁচ আগস্টের পর বিএনপি চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে নিজ দলের শত শত কর্মীসহ বহু মানুষকে হত্যা করেছে। তারা এখনও যদি এসব বন্ধ না করে, তবে দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা আওয়ামী লীগের শাসনকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।”
নুর আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লব হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়। এটি শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বৈরাচারী সরকারের পতনের দাবি তুলেছে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. এমদাদুল হাসান।