
ক্ষমতা বা আসন- কোনো কিছুর বিনিময়ে রাজনৈতিক সমঝোতায় যাবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রাজধানীর শাহবাগে আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান স্পষ্ট করে জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের যদি কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা হয়, সেটা একটা নীতিগত জায়গা থেকে হতে হবে। ক্ষমতার জন্য, আসনের জন্য আমরা কারও সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা করব না। আমরা যদি একটি আসনও না পাই, জাতীয় নাগরিক পার্টির যে আদর্শ, যে নীতি, যে লক্ষ্য, তা অটুট থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখ্য সমন্বয়ক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, প্রচারণায় গেলে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হুমকি-ধমকির মুখে পড়ছেন। তার দাবি, এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দল প্রশাসনে নিজেদের লোক থাকার কথা বলছে। এখনো প্রশাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বহাল আছেন উল্লেখ করে তিনি তাদের অপসারণের দাবি জানান।
প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য, “আমরা সৎ প্রার্থী দিচ্ছি, এটাই আমাদের চমক। এটাই বাংলাদেশের ৫৩ বছরের রাজনীতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চমক।” গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিদের সংসদে প্রবেশ প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতে, সংস্কার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব সরকারের হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারের অভাবে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংসদে গেলে এনসিপি সংস্কার বাস্তবায়নে কাজ করবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তর) সারজিস আলম জানান, আসন্ন নির্বাচনে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে তারা ধারাবাহিক সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাই দলের লক্ষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা জানান, এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মোট ১ হাজার ৪৮৪ জন। রবি ও সোমবার দু’দিন আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। সাক্ষাৎকার শেষে দলটি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।