চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও এম মনজুর আলমসহ ১৬৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসার আলিম বিভাগের ছাত্র সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ ও ৫ আগস্ট হামলার শিকার এক যুবক বাদী হয়ে ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও চারজন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ ঢাকার সরকারি আলিয়ার মাদরাসার আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্র।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করলে তিনি মারাত্মক জখম হন। আহত অবস্থায় ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর বাদুরতলায় মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীদের আরেক দফা আক্রমণের শিকার হন। এতে তার চোখ-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলির আঘাত লাগে।
এতে তিনি তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং বাম চোখের দৃষ্টিও কমে আসছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।