
সন্ত্রাসবাদ দমনে নয়াদিল্লিকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং। এ প্রতিশ্রুতি আসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। রবিবার (৩১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের এ তথ্য প্রকাশ করে।
বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার বিষয়েও আলোচনা হয়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ও বাণিজ্য অচলাবস্থা নিরসনের দিকেও নজর দেওয়া হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানান, “বিস্তারিত তুলে না ধরে, আমি শুধু একটুকুই বলল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্দিষ্ট করে এবং সুস্পষ্টভাবে সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। কারণ এ সমস্যার ফলে ভারত ও চীন উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, চীন এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
মিশ্রির মতে, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার বক্তব্যে উঠে আসে যে, এ হুমকি শুধু ভারত নয়, চীনকেও প্রভাবিত করছে। ফলে উভয় দেশ সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে চীন জুন মাসে এসসিও সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ যুক্ত করেনি। এ কারণে ভারত ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়। কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সংঘটিত হামলার বিষয়টি বাদ দিয়ে বরং চীন বেলুচিস্তানের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে, যা পরোক্ষভাবে ভারতের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দেয়।
এ ছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক নিয়েও আলোচনা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেলের কারণে। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ওই বৈঠকে ভারত ও চীন বিষয়টি নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও মতবিনিময় করে।
অন্যদিকে, সাংহাই কো-অপারেশন সামিট চলাকালীন আজ মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলা এবং এর জেরে চালানো অপারেশন সিঁদুর–এর পর এটাই প্রথমবার দুই নেতার সরাসরি সাক্ষাৎ।