
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের শহর লাহোরে আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পাকিস্তানের জিও টিভি এই খবর জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় একটি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন ভূপাতিত করার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। খবর আল-জাজিরা, জিও টিভি ও রয়টার্সের।
লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।ড্রোনটি সীমান্তের অপরপাশে তথা ভারতের ভেতর থেকে পরিচালনা করা হচ্ছিল।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরক-বোঝাই এই ড্রোনটির আকার ১.৫ থেকে ১.৮ মিটার (পাঁচ থেকে ছয় ফুট) এবং এটি ভারতের সীমান্তের ওপার থেকে পরিচালিত হচ্ছিল এবং শহরের সংবেদনশীল ভবনগুলোর দিকে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও জানিয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরসহ দেশটির কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। মধ্যরাতে দেশটির মোট নয়টি জায়গায় চালানো এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তানও। কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ। গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের হাত ছিল দাবি করে জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। এরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মঙ্গলবার রাতে মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জলবিদ্যুৎ বাঁধ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
এতে নারী-শিশুসহ ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫৭ জন আহত হন। এদিকে হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।
গোলার আঘাতে ভারতীয় এক সেনাও নিহত হয়েছেন বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।