
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে কিরিল এই মন্তব্য করেন। তিনি রাশিয়ার বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার দায়িত্বে রয়েছেন।
এক্সে পোস্টে তিনি লিখেছেন, “পুরো বিশ্বই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দলের শান্তির প্রচেষ্টার প্রশংসা করছে।”
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেন ট্রাম্প। বৈঠকের পর দুজন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অগ্রগতি দেখতে পাওয়া যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, “সবকিছু ভালোভাবে এগোলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি চুক্তি হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে সময় বেশি লাগতে পারে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার খুব কাছাকাছি আছে।
শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাম্প ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি এটি প্রতি মাসে ২৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে, বা সামান্য উপকারও আসে, তবে আমি প্রস্তুত।”
অন্যদিকে, জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বৈঠকে শান্তি কাঠামোর সব দিক আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে এবং ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়েও শতভাগ ঐকমত্য হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর প্রধান শর্ত হলো- ইউক্রেন পুরো দনবাস অঞ্চল রাশিয়ার হাতে ছাড়বে। অঞ্চলটির প্রায় সম্পূর্ণ অংশ বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনাতেও দনবাস রাশিয়ার হাতে ছাড়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত, যা ইউক্রেন আপত্তি জানিয়েছে। জেলেনস্কি আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই দফা নিয়ে কিছুটা নমনীয় অবস্থান নেবে।
গতকালের বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কি দুজনই জানালেন, দনবাসের ভবিষ্যৎ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে সমাধানের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেছেন, দনবাস নিয়ে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানো একটি জটিল বিষয়।