
দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত আন্দোলনের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের স্থানীয়ভাবে বিক্ষোভ আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের পাঠানো এক বার্তায় এ নির্দেশনা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, শহিদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা, পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করতে হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বার্তায় আন্দোলনের ধরন নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বিক্ষোভ চলবে কিন্তু কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় জড়ানো যাবে না। আন্দোলনের ভেতরে বিভিন্ন হঠকারী গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে নাশকতার চেষ্টা করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়। এ কারণে তৃণমূল পর্যায়ের সব নেতাকর্মীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিবাদী বক্তব্য দেওয়া যাবে, তবে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না যাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
বার্তার শেষ অংশে বলা হয়, "আমরা হাদি ভাইয়ের খুনিদের বিচার চাই। কিন্তু আমাদেরকে ব্যবহার করে কোনও তৃতীয় পক্ষ যেনো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেবার কোনও সুযোগ না পায় সেটা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে৷ জনসাধারণকে সাবধান রাখার দ্বায়িত্বও আমাদের।"
এর আগে শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পোস্টে জুমার নামাজের পর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। পোস্টে তিনি লেখেন, "সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় জুমার পরে আমাদের শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। অবস্থান কর্মসূচির পরিবর্তে বিকাল ৪টায় বাংলামোটর থেকে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত হবে। সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।"
একই পোস্টে তিনি জুমার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। নাহিদ ইসলাম লেখেন, "গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাইবিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে। জনগণের ক্ষোভকে ব্যবহার করে কোনো হঠকারী গ্রুপ কোথাও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ অথবা কোনো নাশকাতমূলক কার্যক্রম যাতে করতে না পারে, সে ব্যাপারে ভূমিকা পালন করুন।"