
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ বিকেল ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মরদেহ দেশে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিমানবন্দরের বাইরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান জানান, “শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হবে মরদেহ। জুলাই আন্দোলনের প্রাণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী এই বীরকে শ্রদ্ধা জানাতে সবাইকে বিমানবন্দর থেকে শাহবাগগামী সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পরে শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে রাখা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চ আরও জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মরদেহের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ঢাকা-৮ এলাকায় বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলযোগে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়, পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলেও সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার হত্যার ঘটনায় দেশে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।