
চট্টগ্রাম-৮ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দলটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তুলনা করেছেন ‘অমানবিক ও নৃশংস’ হত্যাচেষ্টার সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং আসন্ন নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে এ ধরনের হামলা সংঘটিত হয়েছে।
বিবৃতিতে ফখরুল সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, অন্যথায় ওতপেতে থাকা দুষ্কৃতকারীরা দেশের শান্তি ও অস্তিত্ব বিপন্ন করতে পারে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ফখরুল গুলিবিদ্ধদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
প্রাথমিক তথ্যমতে, গণসংযোগের সময় এরশাদ উল্লাহকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সময়ে আরও একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের জন্য এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচার করা জরুরি।’
হামলার পেছনের সূত্র হিসেবে নিহত সারওয়ার হোসেন বাবলার বাবা আবদুল কাদের দাবি করেছেন, এটি শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের লোকজনের কাজ। তিনি জানান, সাজ্জাদ ইতিমধ্যেই ১৩টি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বাবলার হত্যার ন্যায্য বিচারের দাবিও পরিবার ইতোমধ্যেই করেছে।
বিএনপি মনে করছে, দেশে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের পর স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পরও দুষ্কৃতকারীরা নৈরাজ্যের মাধ্যমে পুনরায় অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এরশাদ উল্লাহসহ গুলিবিদ্ধরা সেই অপতৎপরতার নির্মম বহিঃপ্রকাশ।