
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাম্প্রতিক সময়ে শান্তি মিছিলের আড়ালে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২4 সালের ৪ আগস্ট ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ শীর্ষক শান্তি মিছিলে অংশ নেওয়া এবং চলমান গণআন্দোলনের সময় সহকর্মীদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫৭ জন শিক্ষক, ২৪ জন কর্মকর্তা, ২১ জন কর্মচারী ও ৩১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে চাকরিচ্যুত, ৮ জনের পদাবনতি এবং ৩১ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জন বহিষ্কৃত, ৮ জন চাকরিচ্যুত, ৭ জন তিরস্কারপ্রাপ্ত এবং একজনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ২ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১৯ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাতজনকে আজীবন বহিষ্কার এবং ২৪ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কৃত, ১৫ জনের সার্টিফিকেট বাতিল, এক শিক্ষককে পদাবনতি, এক কর্মকর্তাকে অপসারণ এবং আরেকজনের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, তিনজন শিক্ষক আদালতে রিট করলেও হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।