ফেনীর যুবদল নেতা বেলাল হত্যা মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার

ফেনীর দাগনভূঞা থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর যুবদল নেতা বেলাল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি খুরশিদ আলমকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকায় হতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খোরশেদ আলম (৫৫) ফেনীর দাগনভূঞা থানার প্রতাপপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) চট্টগ্রাম র‍্যাব-৭'-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এআরএম মাজাফ্ফর হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেলাল হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলাল ব্যক্তিগত কাজে তার নিজ বাড়ির সামনে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী খোরশেদের সঙ্গে পূর্ববিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরবর্তী খোরশেদ আলম, শামসুদ্দিন এবং অন্যান্য সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, লোহার পাইপ দিয়ে পথরোধ করে ভিকটিম বেলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।’

এ সময় বেলাল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে খোরশেদ আলম, শামসুদ্দিন ও অন্য সহযোগীরা বেলালকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে বেলালের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎিসার জন্য দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। 

পরবর্তী তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দাগনভূঞা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম বেলাল মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় ৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে একটি মামলার দায়ের করেন।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের র‍্যাব-৭ গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে র‍্যাব-৭ গোপন সূত্রে জানতে পারে, বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামি খোরশেদ আলম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মোগড়াপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গভীর রাতে চট্টগ্রাম র‍্যাব-৭ ও নারায়ণগঞ্জ র‍্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানে খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে। 

পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে বেলাল হত‍্যা মামলার ৪নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।  এছাড়াও তিনি মামলা রুজু হওয়ার পর হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলে জানান।

গ্রেফতারকৃত আসামি খোরশেদ আলমের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন‍্য তাকে ফেনীর দাগনভূঞা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ১২ মার্চ বেলাল হত‍্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি শামসুদ্দিনকে চট্টগ্রাম মহানগরী হালিশহর এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।