
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের মূলনীতি বা বটম লাইন হলো পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতা। তিনি বলেন, “শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ কখনো নৈতিকতার বিকল্প হতে পারে না।”
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, “যোগাযোগ ভেঙে পড়া মানেই সবকিছু ভেঙে পড়া।” মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় বার্তা যেন সঠিকভাবে পৌঁছে, সেদিকে মনোযোগী থাকার আহ্বান জানান তিনি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, সেটিকে ব্যয় নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকি বোঝাতে গিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, একটি ছোট বার্তা একাধিক ধাপ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে বিকৃত হয়ে যায়। তিনি বলেন, “নির্বাচনেও একই ধরনের ঝুঁকি থেকে যায়।” এজন্য মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সঠিকভাবে নোট নেওয়ার গুরুত্ব দেন তিনি।
তিনি বলেন, পেছনের সারিতে বসা প্রশিক্ষণার্থীরা প্রায়ই ঝিমিয়ে পড়েন, ফলে যোগাযোগ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
সিইসি আরও বলেন, “নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ তো আছেই, এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াজনিত নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।” বিশেষ করে মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন বা ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন একটি আলাদা সেল গঠন করবে বলেও জানান তিনি।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আইনকানুন শেখানোর পাশাপাশি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধের দায়িত্বও নিতে হবে এবং এ বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দিতে হবে।”
আজকের অনুষ্ঠানে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। প্রশিক্ষণ দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবং মোট ৮০ জন প্রশিক্ষণ নেবেন।