
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) এসব বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং হামলা বন্ধের দাবি তোলে।
আনাদোলু এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ৩০তম জাতীয় প্যালেস্টাইন মার্চের অংশ হিসেবে লন্ডনের কেন্দ্রীয় রাসেল স্কয়ার থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে বিশাল মিছিল বের হয়। “গাজায় অনাহার বন্ধ করুন” শ্লোগানে মুখর এ সমাবেশে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে হাজারো মানুষ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায়।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি), যা দেশব্যাপী ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক, বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিল, “ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনাহারে হত্যা করছে। আমাদের সরকারকে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিক্ষোভকারীরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে “গণহত্যায় জড়িত থাকার” অভিযোগ তোলেন।
সুইডেনের স্টকহোমেও শত শত মানুষ ওডেনপ্ল্যান এলাকায় সমবেত হয়ে গাজা শহর দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানায়। তারা মার্কিন সমর্থনের নিন্দা করে প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ২১ জন নিহত এবং ৩৪১ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত এভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭৪৩ জন এবং আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৯০ জন। শুধু অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষেই গত এক দিনে শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট সংখ্যা ২১২ জনে পৌঁছেছে; এর মধ্যে ৯৮ জন শিশু।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে ”গণহত্যা বন্ধ করো” শ্লোগান দেয়। কেউ কেউ হাঁড়ি-পাতিল হাতে অবরুদ্ধ অঞ্চলের দুর্ভিক্ষের প্রতিবাদ জানান।
একই দিনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জার্ডিন অ্যাংলাইস এলাকায়ও হাজারো মানুষ সমবেত হয়। ইংরেজি, ফরাসি ও আরবিতে স্লোগান দিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে, হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে গাজার মানবিক সংকটের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে এবং ইসরায়েলের নিপীড়নে আন্তর্জাতিক সমর্থন বন্ধের আহ্বান জানায়।