
আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রলোভনে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর বনানী থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পান্না পুনম হাওলাদার ওরফে কেয়া এবং মো. মামুন খান। গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানীর ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী মো. নাদিত হাসান রকি কুইন গ্লোবাল কনসালট্যান্ট অ্যান্ড আইইএলটিএস প্রতিষ্ঠানে কোচিং করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসামিরা তার ও অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইইএলটিএস পরীক্ষায় পাস করার জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে রকি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। পরে তিনি জানতে পারেন, আসামিরা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেন।
তিনি আরও জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর বনানীর ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’ হোটেলে ভিকটিম রকি তার বন্ধু তাবিবুল ইসলামসহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা টাকা দেন। রাতের দিকে আসামিরা কয়েকটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ভিকটিম দেখেন আসামিদের দেওয়া উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মাত্র কয়েকটি প্রশ্ন মিল রয়েছে। পরীক্ষা শেষে হোটেলে ফিরে টাকা ফেরত চাওয়ার পর আসামিরা তা অস্বীকার করে হুমকি দেন।
ডিএমপির বরাত দিয়ে জানানো হয়, মামলার পর তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।