
তিন দফা দাবি না মানায় আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে।
সকালে সাড়ে ১১টা থেকে বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায়।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না আসায় শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলে রায়ট পুলিশের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের প্রয়োজন নেই।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের প্রয়োজন নেই৷ যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে পেশ করা হলে সহজেই সমাধান করা সম্ভব।”
তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে সরকারের কাছে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব আসেনি।
তার ভাষায়, “প্রস্তাব পেলে এ বিষয় সহজেই সমাধান সম্ভব। শুধু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নয়, বুয়েটের এই দাবিগুলোর সাথে আইন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসি জড়িত রয়েছে। সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, রাস্তা বন্ধ করে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করে যে আন্দোলন হচ্ছে তা ঠিক নয় এবং এটি বিচক্ষণতার পরিচায়ক নয়।