
রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায় নজরুল ইসলাম মোল্লা (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে নিজ বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে নজরুলকে ধরে নিয়ে যায় একদল লোক, পরে মারধরের ফলে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, নজরুলের শরীরে প্রচণ্ড মারধরের চিহ্ন ছিল। তারা প্রশ্ন তোলেন, যদি সে কোনো অপরাধ করে থাকে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু এমন নৃশংসভাবে মারধর করে হত্যা করা কি ন্যায্য?
নজরুলের মামা কামাল হোসেন জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে। তিনি খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী আকলিমা বেগম ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন এবং পাড়ায় একটি পুরি-শিঙাড়ার দোকান চালাতেন। পাশাপাশি তিনি ইয়াবা বেচাকেনা ও সেবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে, এবং তার বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কিছু লোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে নজরুলের বাসায় ঢুকে তাকে মারধর করে এবং পরে তাকে ও তার স্ত্রীকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে আরও নির্যাতন চালানো হয়। ভোররাতে নজরুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয় এবং তার স্ত্রীর কাছে ২ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। পরে মুগদা হাসপাতাল থেকে নজরুলকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ হোসেন জানান, একজনের মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত পরিবার থেকে থানায় আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং নজরুলের মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার ও স্থানীয়রা।