
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে যুবদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম মিন্টু (৪৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৩টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মিন্টু কচুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের সরদার আবু বক্কার সর্দারের ছেলে। তিনি দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই বিয়ের কারণে তার পরিবারে অশান্তি চলছিল। সোমবার গভীর রাতে বড় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হলে বাইরের ৭-৮ জন লোক তাকে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
রাড়িপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার রেজাউল হোসেন জানান, “মিন্টু যুবদলের একজন কর্মী ছিলেন। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি পারিবারিক কলহের কারণে ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।”
এছাড়া, একই দিনে বাগেরহাট শহরের পচা দিঘী থেকে সুমন্ত বিশ্বাস নামের এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে।