
নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে রাজনৈতিক পার্টি হিসেবে নিবন্ধন না দেয়ায় ‘আমজনতার দল’-এর প্রধান তারেক রহমান মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ইসির কেন্দ্রীয় ভবনের গেটের সামনে আমরণ অনশনে বসেন।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ যখন নতুন দলগুলোর নিবন্ধন ঘোষণা করেন—সেই সংবাদ সম্মেলনের সঙ্গে সঙ্গে তারেক গোমরায় পড়েন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিকেল ৩টায় আখতার আহমেদের ব্রিফিং শেষে তিনি প্রথমে ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেষ্টা করেন; তা না হলে অতিরিক্ত সচিবের কার্যালয়ের সামনে ফিরে এসে গেটের সামনে অনশনে বসেন।
তারেকের অভিযোগ, ইসিকে তিনি নিবন্ধন না দেয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো সঠিক উত্তর দিচ্ছে না।
তাছাড়া তারেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সরাসরি লিখেছেন, ৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ লুট করে, ১ মাস আগে এসে দল খুলে নিবন্ধন পেল ডেসটিনি (ডেসটিনি-২০০০ এর কর্ণধার রফিকুল আমিনের দল বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি), এর আগে জাতীয় লীগকে নিবন্ধনের জন্য নাম ঘোষণা করেছিল ইসি। পরে সব ফাঁস হওয়ায় স্থগিত করে। আমরা বছরের পর বছর রাজনীতি করে নিবন্ধিত হই না। রাজনীতি শুধু বুর্জোয়াদের জন্য। নিবন্ধনের ঘোষণা নয় শুধু, যারা জাতীয় লীগের নাম প্রস্তাব করেছিল, তাদের শাস্তি চাই। নাহলে আমরণ অনশন মৃত্যু দিকে ঠেলে দেবে।
ইসি পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি–এই তিনটি দলের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অভিযোগ-আপত্তি আহ্বান করা হবে। আবেদন বা কোনো আপত্তি না থাকলে অথবা আপত্তি নিষ্পত্তির পর ইসি চূড়ান্ত নিবন্ধন সনদ জারি করবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে মোট ৫৩টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থিতিশীল নয় (স্থগিত) এবং কিছু দল—যেমন ফ্রিডম পার্টি, ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপি—এর নিবন্ধন বাতিল রয়েছে।