
রাজধানীর পল্টনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ব্যাপক জমায়েত হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামি ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের। তারা ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন এবং নভেম্বরের মধ্যে আলাদা দিনে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য মিছিল করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মিছিল সকাল ১১টার পর মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে এসে মিলিত হয়। একইভাবে মহানগর উত্তরের মিছিল নয়াপল্টন হয়ে একই স্থানে পৌঁছায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। মিছিল শেষে এটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ‘যমুনার’ দিকে যাত্রা করবে।
জামায়াতের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতাকর্মীরাও পৃথক ব্যানারে মিছিল করে পল্টন মোড়ে যোগ দেন।
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ করা, নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধাহীনতা নিশ্চিত করা। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানিয়ে জামায়াত সরকারকে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা লিখিতভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরবো। এ জন্য এসব দাবি আগের মতোই একেবারে সুস্পষ্ট। অর্থাৎ গণভোট যেন অবশ্যই নির্বাচনের আগে হয় এবং পৃথক দিবসে হয়।’