
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর কাকাইলমোড়া এলাকায় টেঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে মঞ্জুর হোসেন, মকবুল ও জসিমের নাম পাওয়া গেছে। তারা টেঁটাবিদ্ধ হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পরিচয় না মিললেও আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাচেরচর এলাকায় বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকালে সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়ার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে, অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কর্মীদের আনা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সামনেই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় বেলায়েতের অনুসারীরা জাকারিয়ার পক্ষের লোকজনকে মারধর করেন।
তার জের ধরে মঙ্গলবার বেলায়েতের অনুসারী ইদ্রিস আলীর বাড়িতে জাকারিয়ার সমর্থকরা হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ১০টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়া বলেন, “ইদ্রিস আলী আওয়ামী লীগের লোক। সে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঞ্জুর হোসেনকে নিয়ে হামলা করেছে। সে কখনো বিএনপির রাজনীতি করেনি। আজ সে আমাদের লোকদের আহত করেছে।”
অপরদিকে ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে বলেন, “জাকারিয়া খাগকান্দা ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের নিয়ে আমাদের লোকজনের ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তাদের হামলায় আমাদের অনেকে আহত হয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮-১০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ না দিলেও তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”