ঘুষের টাকা লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও তার সহযোগী এনজিওকর্মী হাসিবুর রহমানের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) যশোর জেলা জজ আদালতে আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়। শুনানিতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আসাদুর রহমান খান।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে শামীমা আক্তার ও হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল আমিন। এর একদিন আগে, ৬ অক্টোবর, দুদকের যশোর কার্যালয়ের একটি বিশেষ দল বেনাপোলে অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুদকের দল বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অভিযান চালায় এবং একজনকে হাতেনাতে আটক করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে শামীমা আক্তার ও হাসিবুর রহমানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনেরও প্রমাণ পাওয়া যায়।
তদন্তে জানা যায়, রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কাস্টমস হাউস বেনাপোলের শুল্কায়ন গ্রুপ-৬-এ কর্মরত। অপরদিকে এনজিওকর্মী হাসিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ওই কার্যালয়ে তার “নিজস্ব লোক” হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সিএন্ডএফ এজেন্টদের কাছ থেকে ফাইল অনুমোদনের বিনিময়ে ঘুষ আদায় করতেন এবং সংগৃহীত টাকা শামীমা আক্তারের হাতে পৌঁছে দিতেন।
গত ৫ ও ৬ অক্টোবর হাসিবুর রহমান মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষের অর্থ সংগ্রহ করে রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিতে আসেন। তখন দুদকের টিম অভিযান চালিয়ে তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে।
অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মেলে এবং ঘটনাস্থল থেকে ঘুষের নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। এ সময় রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের সহযোগী হিসেবে হাসিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে শামীমা আক্তারকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করে মুচলেকা নিয়ে কাস্টমস কমিশনারের জিম্মায় রাখা হয়।