
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলকে অপসারণ করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ইউনকে অপসারণ করে এই রায় দিয়েছে আদালত। সংবাদ আল জাজিরার।
এই রায়ের ফলে আগামী দুই মাসের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আদালত বলেছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারি করে ইউন সুক-ইওল জনগণের অধিকার ‘লঙ্ঘন’ করেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত গত বছরের শেষের দিকে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে তার পদ থেকে অপসারণের রায় দিয়েছে। শুক্রবারের এই রায়ের অর্থ এখন দেশটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
মূলত, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইউন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সামরিক আইন ঘোষণা করেন। সেসময় তিনি দাবি করেন, রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তর কোরিয়ার শক্তি সরকারে অনুপ্রবেশ করেছে।
কিন্তু দেশের জাতীয় পরিষদ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পাঠানো ঊর্ধ্বতন সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদদের আটক করতে এবং তার সামরিক শাসনের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সংসদকে ভোটদান থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে সামরিক আইন জারিকে ঘিরে সংসদে আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হওয়া ইউন সুক-ইওলকে গত বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তবে তার অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য সাংবিধানিক আদালতের আটজন বিচারকের মধ্যে ছয়জনের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। মূলত অভিশংসিত হলেও জটিল আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এত দিন প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ইউন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনও নির্বাহী ক্ষমতা ছিল না তার হাতে।
তবে এবার সাংবিধানিক আদালত নতুন করে এই রায় দেওয়ায় চূড়ান্তভাবে অপসারণ হলেন ইউন। যে কারণে এখন নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে দেশটিকে।