
জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজেদের দলীয় প্রতীকে ভোট করতে হবে - এমন বিধান রেখে সরকার জারি করেছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫।
সোমবার, ২ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যাদেশটির গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনি আইন সংশোধনের সব প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হলো।
এর আগে ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। বৈঠকের পর বিএনপি সংশোধনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জানায়, “জোটভিত্তিক নির্বাচনে এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে।” তবে জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (এনসিপি) ২০ ধারার সংশোধন বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতভেদের মধ্যেও সরকার পূর্বের প্রস্তাব অনুযায়ী অধ্যাদেশটি জারি করেছে। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো নিবন্ধিত দল জোট গঠন করলেও জোটের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না; প্রতিটি প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকেই ভোটের প্রতীক হিসেবে থাকতে হবে।
আরপিও সংশোধনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা আইন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন করেছে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র পরিচালনা নীতিমালা, দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালা এবং সাংবাদিকদের আচরণবিধিও হালনাগাদ করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত আরপিওর ধারাবাহিকতায় নতুন ‘দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি’ শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।