
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘তথাকথিত মাদকবিরোধী’ অভিযান শিগগিরই স্থলপথে পরিচালনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) তিনি এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেনাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণায় ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে। ভেনেজুয়েলা বরাবরই দাবি করে আসছে, এসব অভিযান প্রকৃতপক্ষে দেশটির শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সে ট্রাম্প যেসব সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ ইতিমধ্যেই মাদকবিরোধী অভিযানে ‘সাউদার্ন স্পিয়ার’-এ অংশগ্রহণ করছে। অভিযান শুরুর আগে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
টেক্সাসভিত্তিক একটি বিমান বাহিনীর বোমারু ইউনিটকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেছেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আপনারা ভেনিজুয়েলার মাদক পাচার প্রতিরোধে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন।”
এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাদক পাচারের অভিযোগে নৌকাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে নিজেদের দাবিকে সমর্থন করার জন্য তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসব হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব নৌকায় হামলা করেছে, সেগুলো মাদকবাহী ছিল- এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তাই এই হত্যাকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সম্ভাবনা রয়েছে।