
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসার সময় ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতি নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির মতে, এখন সেই নীতি রূপ নিয়েছে ‘শক্তির মাধ্যমে আধিপত্য’ প্রতিষ্ঠার দিকে, যা বিশ্বকে ‘আইনহীন জঙ্গলে’ পরিণত করেছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) তেহরানে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক আইন আক্রমণের মুখে: আগ্রাসন ও প্রতিরক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আরাঘচি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে শক্তিশালী দেশগুলোর সামরিক বাজেট অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র আরও ব্যাপক যুদ্ধ, সহিংসতা এবং উত্তেজনার পথ খুলে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র যে ‘জঙ্গল’ তৈরি করেছে, সেখানে কোনো আইন নেই এবং নিজেকে রক্ষা করতে সবাইকে শক্তিশালী হতে হবে।”
আরাঘচি মার্কিন প্রশাসনের আধিপত্যবাদকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ পরিবর্তন করে যুদ্ধমন্ত্রীর পদ তৈরি করা এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করা এগুলো ‘জঙ্গলের আইনে প্রত্যাবর্তন’ প্রকাশ করে।”
তিনি আরও বলেন, “যে প্রেসিডেন্ট নিজেকে শান্তির উপস্থাপক হিসেবে দেখান, তিনি যুক্তি-বুদ্ধি ছাড়া যেকোনো জায়গায় আক্রমণ চালান, শহরগুলো খালি করতে নির্দেশ দেন, নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেন এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন—এমনকি পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের প্রতিশ্রুতিও লঙ্ঘন করেন।”
আরাঘচি ইসরায়েলকেও পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ও এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “জায়নবাদী সরকার আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিকে উপেক্ষা করে সীমাহীন এবং বিপজ্জনক ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করছে। পশ্চিম এশিয়ার কোনো দেশই ইসরায়েলের সামরিক ও নিরাপত্তা আকাঙ্ক্ষা থেকে নিরাপদ নয়। গত দুই বছরে সাতটি দেশে আক্রমণ চালানো এবং ফিলিস্তিনের বাইরে নতুন এলাকা দখল করা তার প্রমাণ।”