
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা নির্মাণের প্রথম দিন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপ মনিটরিংয়ের আওতায় রাখতে হবে।
শনিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের ২২৪টি পূজামণ্ডপকে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিসি বলেন, পূজা উদযাপন কমিটি, পুলিশ, আনসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে বলেন, আপনারা যে উদ্দেশ্যে আয়োজন করছেন এবং যারা অংশগ্রহণ করবেন, তাদের উদ্দেশ্য যেন সফল হয়। ধর্মীয় আচার সম্পাদনে কেউ যেন কোনো বিঘ্ন না পায়। সুন্দর আয়োজনের মাঝেও যদি মণ্ডপের সামনে অতিরিক্ত ভিড় থাকে, তবে তা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আশা ও উৎসাহ যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
এর আগে জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জের ২২৪টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে বলেন,
মণ্ডপ পরিদর্শন করে কোনো ত্রুটি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনার জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের জেলা শাখার সদস্য সচিব কার্তিক ঘোষ বলেন, পূর্ণ আয়োজনের সময় অনেক কুচক্রী মহল সক্রিয় থাকে। প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরাও মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করব।
জেলা শাখার আহ্বায়ক অভয় কুমার রায় বলেন, প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভির আওতায় রাখা উচিত, যাতে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে। সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন বলেন, জেলা প্রশাসক সমস্ত কমিটিকে নিয়ে যে মহতী আয়োজন করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ পদ সাহা, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের সদস্য সচিব খোকন সাহা সহ ২২৪টি পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।