
দুর্গাপূজাকে ঘিরে দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির একটি পরিকল্পিত চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও পূজা উদযাপন কমিটির সমন্বিত ভূমিকায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সহায়তায় এবং কিছু ফ্যাসিস্ট চক্রের মদদে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা হয়েছিল। তিনি জানান, দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় এক নিন্দনীয় ঘটনায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আসলে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। পাশাপাশি অসুরের মুখে দাঁড়ি বসানো নিয়েও এই ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র রয়েছে।
তার ভাষায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয়তা, গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি, পূজা মণ্ডপ কমিটির সহযোগিতা এবং গণমাধ্যমসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই ষড়যন্ত্র দমন করা সম্ভব হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়িতে একটি কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালেও মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মতে, দেশি-বিদেশি একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। তবে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং জনগণের সহযোগিতায় সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে জারি করা ১৪৪ ধারা ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং সেখানে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।
ফেব্রুয়ারির আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে পার্শ্ববর্তী দেশ কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করতে চায় কিনা, এমন প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন এসেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর সুনির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব হবে।