
ফরিদপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন ঘিরে চলমান অবরোধে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বিকেলের মধ্যে অবরোধ না সরালে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সতর্কবার্তা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারও নেই। তারা লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।”
কোর কমিটির বৈঠকে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচন, পুলিশের প্রশিক্ষণ, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি, ছিনতাই-ডাকাতি এবং সীমান্ত ইস্যু আলোচনায় এসেছে। পাশাপাশি শারদীয় দুর্গোৎসবের নিরাপত্তা ও ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন ঘিরে উদ্ভূত সমস্যা নিয়েও কথা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ফরিদপুরের এই দুই ইউনিয়নের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পূর্বে যে আসনে তারা ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। যুক্তি-তর্ক শুনেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণের ক্ষোভ থাকলে তা সঠিক চ্যানেলে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু এর নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অভিযোগ করে বলেন, “এই দুটি ইউনিয়নে কতজন মানুষ বা ভোটার? অথচ তাদের কারণে লাখো মানুষকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। এটা কোনো অবস্থায় সহ্য করা হবে না।”
এদিকে শুধু ফরিদপুর নয়, আসন সীমানা ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অন্য জেলাও। পাবনার বেড়া উপজেলায় চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সড়ক-নৌপথ অবরোধ। আর বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মংলা) আসন ফেরত পাওয়ার দাবিতে জেলায় অফিস-আদালত অবরোধ কর্মসূচি চলছে।