
সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে রাজনীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার ৩০ নভেম্বর দুপুরে ‘প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডারদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি আশ্বাসের রাজনীতিতে মোটেই বিশ্বাস করি না, আমি বিশ্বাস করি অ্যাকশনের রাজনীতি।’ বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আশ্বাস এবং ওয়াদা নয় বরং কাজের মাধ্যমে প্রমাণ হবে হোয়াট উই আর ফর এন্ড হোয়াট ফর আই। বাংলায় একটা কথা আছে। ও গাছ তোমার পরিচয় কি? গাছ বলতেসে আমার ফলের দিকে তাকাইয়া আমার পরিচয়টা জেনে নাও। আমাদের প্রয়োজন এখন ফল। এই ফলের ফসলের চাষটা আমাদের সবাইকে মিলে করতে হবে।’
জনগণকে ভালোবাসলেও অরাজক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘তবে খারাপ রাজনীতিবিদদের কারণে দেশে কিছুই হয় না। কিন্তু আমরা মূল ধরে টান দিবো।’
শিক্ষাব্যবস্থার দুরবস্থা নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘মা বাবা নয়, সন্তান কী নিয়ে পড়াশোনা করবে তা নির্ধারণ করবে শিক্ষক। আমাদের টার্গেট সব শিশুকে গড়ে তোলা। আগামীতে বোঝা নয়, সম্পদ হয়ে উঠবে তারা।’
বিচার ব্যবস্থার দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন জাস্টিস পয়সা দিয়ে কিনতে হয় মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, “এর পরিবর্তন করতে হবে আমাদের।”’
সরকারে গেলে দাবি আদায়ের জন্য আর দফতরে দফতরে ঘুরতে হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারে গেলে কোনো দাবি নিয়ে দপ্তরে দপ্তরে ধরনা দিতে হবে না, আন্দোলন করতে হবে না। সরকার তার দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেবে।’
সরকারে না গেলেও উন্নয়ন উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে ১০০টি ক্লিনিকে সোলার প্যানেল স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।