
সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫’-এর প্রথম সভা আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় সচিবালয়ের পুরাতন ১ নম্বর ভবনের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিশনের সভাপতি ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান।
সরকার গত ২৭ জুলাই ২৩ সদস্যের এই কমিশন গঠন করে। কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যালোচনা করে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া।
প্রথম সভা থেকে শুরু করে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা গড়ে ছয়জন ধরে ব্যয়ের বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার কমিশনের সদস্যরা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। দেশের আর্থ–সামাজিক অবস্থা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রাখতে হবে।”
এই কমিশনের সুপারিশ প্রযোজ্য হবে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর। তবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা এ কমিশনের আওতায় থাকবেন না।
বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী ২০টি বেতন গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এই কাঠামোর আওতায় রয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী।