
ছাত্র অধিকার পরিষদ জাতীয় পার্টির ১৮ নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলা করার আবেদন করেছে। এতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি রমনা থানায় মামলার আবেদন দাখিল করেন। এজাহারে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি অতিক্রম করে জাতীয় পার্টির অফিস সংলগ্ন নাইটিংগেল মোড়ের দিকে গেলে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতা গুরুতর আহত হন।
মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ছাত্র সমাজ ঢাকা উত্তরের সভাপতি মশিউর রহমান জিসান, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সোহাগী রহমান মুক্তাসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, “ঘটনাটি রমনা থানার সীমারেখায় সংঘটিত হয়নি। তারপরও আবেদনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শের পর আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, মামলার আবেদনকারী আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি বলেন, “একই দিনে আমাদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় আমরা রমনা থানায় মামলা করার আবেদন করেছি।”