
অনুমতি ছাড়া প্রয়াত কিংবদন্তি বাউল শাহ আবদুল করিমের গান ব্যবহার করার অভিযোগে এবার গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার ছেলে শাহ নূরজালাল। মামলা করা হয়েছে কপিরাইট আইন ২০২৩-এর ৭৭ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে, যেখানে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা জজ আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহীসহ মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নূরজালাল ২৭ আগস্ট একই অভিযোগে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মোবাইল অপারেটর অনুমতি, লাইসেন্স বা স্বীকৃতি ছাড়াই শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান টেলিভিশন ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। ২০১৬ সালে ইউটিউবে আপলোড করা একটি বিজ্ঞাপন এবং ২০২২ সালে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশিত আরেকটি বিজ্ঞাপনে এই লঙ্ঘন করা হয়েছে।
নোটিশে দাবি করা হয়, গানটি অবিলম্বে অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের পাশাপাশি ইউটিউব, ফেসবুক, টেলিভিশনসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কপিরাইট লঙ্ঘনকারী কনটেন্ট অপসারণ করা হোক, শাহ আবদুল করিমকে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্যভাবে ক্ষমা চাওয়া হোক, ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক এবং ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন আর না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হোক।
গ্রামীণফোন নোটিশের জবাবে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছিল। তবে জবাবটি শাহ আবদুল করিমের পরিবার সন্তোষজনক না হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান মারুফ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী রাজিন আহমেদ বলেন, “শাহ আবদুল করিমের গান কেবল সংগীত নয়, এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের অংশ। ‘রঙিলা বাড়ৈ’ এবং ‘কোন মিস্ত্রি নাও বানাইছে’ গান দুটি ব্যবহার করেছে গ্রামীণফোন। অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার কেবল অবৈধ নয়, বরং চরম অসম্মানজনক। আমরা তার উত্তরাধিকারের জন্য আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।”