
থাইল্যান্ডে ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো ৭৪তম মিস ইউনিভার্সের জমকালো ফাইনাল। এবারের মুকুট জিতেছেন মেক্সিকোর প্রতিযোগী ফাতিমা বশ। তবে তার বিজয়ের পরই তীব্র সমালোচনা ওঠে, আর সেই বিতর্কের কেন্দ্রে বিচারক প্যানেলের সদস্য লেবানিজ-ফরাসি সুরকার ওমর হারফৌচ।
ফাতিমাকে প্রকৃত বিজয়ী নয়, “ভুয়া বিজয়ী” বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। হারফৌচের অভিযোগ, ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় আগেই ফাতিমাকে জয়ী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ফাইনালের দু’দিন আগে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচারক প্যানেল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ওমর হারফৌচ। তার দাবি ছিল, কিছু প্রতিযোগীর সঙ্গে অন্যান্য জুরি সদস্যদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, এটি পুরো প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাতিমা বশ বিজয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নতুন করে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন ওমর। তিনি দাবি করেন, প্রতিযোগিতার মালিক রাউল রোচা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আগেই ফাতিমাকে বিজয়ী করে রাখেন।
ওমর আরও জানান, ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি মার্কিন গণমাধ্যম এইচবিওকে জানিয়েছিলেন যে মিস মেক্সিকোই জয়ী হবেন। তার ভাষায়, “মিস মেক্সিকো একজন ভুয়া বিজয়ী। মিস ইউনিভার্সের মালিক রাউল রোচার সঙ্গে ফাতিমা বশের বাবার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।”
তিনি আরো অভিযোগ করেন, “এক সপ্তাহ আগে দুবাইতে রাউল রোচা এবং তার ছেলে আমাকে ফাতিমাকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ফাতিমার জেতাটা তাদের ব্যবসার জন্য ভালো হবে।”
তবে এসব অভিযোগ একেবারেই মানতে নারাজ মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট রাউল রোচা। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি সব দাবি অস্বীকার করে জানান, ওমর হারফৌচ পদত্যাগ করেননি, বরং তাকে স্বচ্ছতার ঘাটতির কারণে বিচারক প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ওমরকে ব্র্যান্ডের কোনো কার্যক্রমে যুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।