
চীনের সম্ভাব্য সামরিক হুমকি মোকাবেলায় জাপান কি তাইওয়ানের পাশে সামরিক পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে দেশটির জনগণ দুইমুখী মনোভাব প্রকাশ করেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) কিয়োডো সংবাদ সংস্থার জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি সম্প্রতি বলেছেন, “তাইওয়ানের ওপর চীনের সামরিক আক্রমণ জাপানের জন্য ‘বেঁচে থাকার হুমকিস্বরূপ পরিস্থিতি’ তৈরি করতে পারে।” এই অবস্থায় জাপান সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়া শুরু করতে পারে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৪৮.৮ শতাংশ নাগরিক সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে এবং ৪৪.২ শতাংশ বিরোধী।
এই জনমত জরিপ প্রকাশিত হলো এমন এক সময়, যখন জাপানি প্রধানমন্ত্রীর তাইওয়ান সম্পর্কিত মন্তব্যের পর টোকিও ও বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ মনে করে, তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশ তাইওয়ানকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। তবে তাইওয়ানের সরকার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্ব দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী তাকাইচির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বেইজিং তাদের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল।