
যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থি রাজনীতির পরিচিত মুখ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহু কার্কের মৃত্যু নিয়ে বলেছেন, “তিনি সত্য বলার ও স্বাধীনতা রক্ষার কারণে খুন হয়েছেন।”
সাবেক টুইটার, বর্তমানে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু লেখেন, “কার্ক ছিলেন ইসরায়েলের একজন সিংহ-হৃদয় বন্ধু। তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়েছেন এবং জুডিও-খ্রিস্টান সভ্যতার পক্ষে অবিচল ছিলেন।”
তিনি আরও লেখেন, “মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত, সেই সফর আর হবে না।”
নেতানিয়াহু বলেন, “আমেরিকার প্রতি তার সীমাহীন গর্ব এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তার সাহসী বিশ্বাস দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।”
স্থানীয় সময় বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, চার্লি কার্ক আমেরিকার উটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ভাষণ দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ছোট তাঁবুর নিচে বসে ছিলেন চার্লি। ঠিক তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়, এবং তিনি চেয়ার থেকে ছিটকে পড়ে যান। মুহূর্তেই দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চার্লির গলায় লাগে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
চার্লির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “কিংবদন্তি, চার্লি কার্ক আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের হৃদয়কে চার্লির মতো আর কেউ এতটা বোঝেনি বা অনুভব করেনি। তিনি সবার কাছেই প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ছিলেন, বিশেষ করে আমার কাছে, আর এখন তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। মেলানিয়া এবং আমি তার স্ত্রী এরিকা এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। চার্লি, আমরা তোমাকে ভালোবাসি!”