
রাজধানীর উত্তরায় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ফারিয়া আক্তার তমাসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফারিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন এ এইচ এম নোমান রেজা ও তানজিল হোসেন। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মামলায় মুক্তি পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। দেলোয়ার প্রথমে ৫.৫ লাখ টাকা জোগাড় করেন। পরে বাকি টাকা দিতে তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আরও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে এবং পুলিশ এই বিষয়গুলো যাচাই করছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লাহ জানান, “গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে।”
পুলিশের বরাতে জানা গেছে, মামলার অনুসন্ধানে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় প্রবেশ করে তিনজন নিজেকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন। তারা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে নোমান রেজা বিমানবন্দর এলাকা থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার হন। তার তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা জসীমউদ্দীন এলাকা থেকে ফারিয়া ও তানজিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, নোমান রেজা আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিমানবন্দর থানার সদস্যসচিব ছিলেন। সে এবং তার সহযোগীরা বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে চাঁদাবাজি করতেন। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা না দিলে মারধরের অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।
একাধিক ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন, নোমান ও তার সঙ্গীরা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মিথ্যা মামলায় ধামাচাপা দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে দুই লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদাবাজি করতেন।