
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকট ও বিকল্প হিসেবে আবাসন ভাতার দাবি জানিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে, ফলে ক্যাম্পাস রবিবার (১৭ আগস্ট) বিক্ষোভের কারণে উত্তাল হয়ে ওঠে।
দুপুর ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ২টায় পাঁচ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানো হয়। এই সময়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন- ‘হয় আবাসন ভাতা দে, নাইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘মুলা না আবাসন, আবাসন আবাসন’, ‘১০০ টাকার প্রহসন, মানি না মানবো না’।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে হলে আবাসনের সুযোগ বা সমপরিমাণ ভাতা প্রদান করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের তালা খোলা হবে না বলে ঘোষণা করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ বলেন, চবি দেশের অন্যতম বড় ক্যাম্পাস হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত হল নেই। প্রশাসন চাইলে সরকারি বাজেট ব্যবহার করে বহুতল হল নির্মাণ করতে পারে, কিন্তু এ বিষয়ে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাজেট ও আবাসন সুবিধায় চবি সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো:
শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ ও বহুতল আধুনিক হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাৎক্ষণিক রূপরেখা প্রকাশ।
আবাসন সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত আবাসন ভাতা প্রদান।
অবৈধভাবে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে সিট বাতিল ও হল থেকে উচ্ছেদ।
হলের আবেদনে ১০০ টাকা নেওয়ার প্রথা বন্ধ এবং সিট না পাওয়া শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত প্রদান।
মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করে ডেকার বেড প্রথা চালু করা।
চবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আমরা কখনও উদাসীন নই। আলোচনা সাপেক্ষেই সমাধানের চেষ্টা করি। তবে শিক্ষার্থীরা কোনও আল্টিমেটাম বা আলাপ-আলোচনা ছাড়া প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে।